নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামীলীগের আলোচিত সেই নজরুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে । প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দের নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ও দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে সংগঠনের সদস্য সহ সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যহত দেওয়া হয়েছে। শনিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের জরুরিসভা ডেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান ও সাধারন সম্পাদ আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া নজরুল ইসলামকে অব্যহতি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে দপ্তর সম্পাদক সেবক কুমার কুন্ডু স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলীয় পদে থাকার দাপটে নজরুল ইসলাম উপজেলার লক্ষীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর দেওয়ার কথা বলে অসহায় ৭ নারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন নজরুল ইসলাম। এই টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগী নারীরা নাটোর আমলি আদালতে পৃথক দুইটি মামলা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এনিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহষ্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নূর আহম্মেদ অভিযোগকারীদের শুনানী গ্রহন করেন।
শুনানী গ্রহণের প্রতিবেদন দাখিলের আগেই শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় ভুক্তভোগী নারীদের তার দপ্তরে ডেকে ৫জন নারীর টাকা ফেরত দেন। তবে নজরুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের শর্তে দুই নারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এনিয়ে শনিবার দেশের গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দলের হাইকমান্ডের নিদের্শে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন,নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারনা বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।