নাটোর অফিস॥
আজ ৫মে নাটোরের লালপুরের গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল চিনি কলে গণহত্যা দিবস। আজ শুক্রবার সকালে মিলের অভ্যন্তরে শহীদ সাগর চত্বরে ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে আয়োজন করা হয় এক কোরান খানি,আলোচনা সভা ও মিলাদ মহাফিলের। প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল আজমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা লীলি. নর্থ বেঙ্গল চিনি কলের তৎকালীন প্রশাসক শহীদ লেঃআনোয়ারুল আজিমের ছোট ছেলে ডাঃ আনোয়ারুল ইকবাল,
শহীদ গুলজার হোসেন তালুকদারের বড় ছেলে শাহীন আল হাসান, আবুল হাশেমের ছেলে কৃষিবীদ আবুল খায়েরসহ অন্যান্যরা। এসময় শহীদ পরিবারেরসদস্যবৃন্দ,মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ মে হানাদার বাহিনি ও তাদের দোসররা নর্থ বেঙ্গল সুগার ঢুকে তৎকালীন মিলের জিএম লেফট্যানেন্ট আনোয়ারুল আজিমসহ মিলের ৪২জন শ্রমিক – কর্মচারীকে ধরে মিলের গোপাল পুকুর পাড়ে সারি করে দাঁড় করিয়ে গুলি ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার পর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ওই পুকুরের নামকরণ করা হয় শহীদ সাগর। এছাড়া গোপালপুর রেল স্টেশনের নামকরণ শহীদ লেঃ আনোয়ারুল আজিমের নামে করা হয় আজিমনগর। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময়েও এই ৪২টি শহীদ পরিবারসহ অন্যারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বীকৃতি পায়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।