নাটোর অফিস ॥
মালেশিয়ায় পাঠানোর নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর আরো টাকা নিতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে সোহরাব হোসেন সুমন (৩৩) নামে এক প্রতারক আদম ব্যবসায়ী। প্রতারনার শিকার ১৭ জনের পাতা ফাদে পা দিয়ে ধরা খেয়েছে প্রতারক সুমন। প্রতারনার শিকার হওয়া ক্ষতিগ্রস্থরা আরো টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারক সুমনকে ডেকে নেয় সদর উপজেলার পন্ডিত গ্রামে। এর আগে প্রতারনার শিকার পন্ডিত গ্রামের জনৈক মাহবুবুর রহমান দুদুর সদর থানায় এসংক্রান্ত একটি এজাহার দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতারনার শিকার হওয়া ক্ষতিগ্রস্থদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পন্ডিতগ্রামে এলে প্রতারক সমুনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষতিগ্রস্থরা। পুলিশ প্রতারক সোহরাব হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। গ্রেফতারকৃত সোহরাব হোসেন সুমন নাটোরের লালপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার পন্ডিত গ্রাম এলাকার জনৈক মাহবুবুর রহমান দুদুর একটি এজাহারের সূত্র ধরে সোহরাব হোসেন সুমনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারে মাহবুবুর রহমান দুদু উল্লেখ করেন মালয়েশিয়া পাঠানোর নাম করে সোহরাব হোসেন সুমন গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নাটোর সদর উপজেলার পন্ডিত গ্রাম এলাকার ১৭ ব্যক্তির কাছ থেকে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক সুমন এই টাকা নাটোর শহরের স্টেশন বড়গাছা সোনালী ব্যাংক শাখা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে গ্রহণ করে। ওই ১৭ জনের কাছে থেকে এক কোটি টাকা নেয়ার পরও অদ্যাবধি কাউকে কোন ভিসা বা চাকুরীতে নিয়োগপত্র দিতে পারেনি। এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা বৃহস্পতিবার আবারো টাকা দেয়ার কথা বলে প্রতারক সুমনকে ডেকে নিয়ে এসে তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরে মাহবুবুর রহমান দুদুর এজাহারের ভিত্তিতে সোহরাব হোসেন সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।