প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া হাট-বাজার ও রেললাইনের পূর্ব পাশে পেড়াবাড়িয়া পশু হাট এর ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও কোন সিডিউল বিক্রি হয়নি। হাট দু’টি ইজারা না হওয়ায় খাস আদায় করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে নিয়ম না মেনে খাস আদায়ের নামে চলছে চাঁদা আদায়।
সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া পৌরসভায় বিহারকোল,ছাতিয়ানতলা,পেড়াবাড়ীয়া হাট-বাজার ও পেড়াবাড়ীয়া পশু হাট নামে চারটি হাট-বাজার রয়েছে। হাটগুলোর ইজারার মেয়াদ শেষ হলে নতুনভাবে ইজারার জন্য গত বছরের ২৯জানুয়ারী স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দু’মাসে চারটি ধাপে সিডিউল বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিহারকোল ও ছাতিয়ানতলা বাজারের সিডিউল বিক্রি হলেও উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মালঞ্চি তথা পৌরসভার বৃহত্তম বাজার পেড়াবাড়ীয়া হাট-বাজার ও রেললাইনের পূর্ব পাশে পেড়াবাড়িয়া পশু হাট দু’টির কোন সিডিউল বিক্রি হয়নি বলে জানা যায়। অবিক্রিত সিডিউলের মূল্য ১৫ লক্ষ ৫ হাজার ৮৮০টাকা। নির্ধারিত সময়ে কোন হাট-বাজার ইজারা দেয়া সম্ভব না হলে পৌরসভার মেয়রকে সভাপতি করে নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে খাস আদায় করতে হবে অফিস সূত্র নিশ্চিত করেন। ওই কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, উপজেলা প্রকৌশলী, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তি দু’জন, ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি দু’জন, পৌর সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার। তবে সিডিউল বিক্রি না হওয়া দু’টি হাট-বাজারের কোন কমিটি না করেই চলছে খাস আদায়ের নামে চাঁদা আদায়।
ওই বাজারের দোকানদার ও জাসদ নেতা আসমত আলী নূরু দাবি করেন, ‘হাট ইজারা না হলেও আমরা নিয়মিত প্রতি হাটেই খাজনা দিচ্ছি। কিন্তু কোন রশিদ আমাদেরকে দেয়া হচ্ছে না। এ যেন এক প্রকারের চাঁদা আদায়। টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না, জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল ও পেড়াবাড়িয়া হাটা-বাজার কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি দাবি করেন, পৌরসভা থেকে কমিটি বিষয়ে লিখিত কোন চিঠি দেয়া, এমন কি মৌখিকভাবেও জানানো হয়নি।
বাগাতিপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইউসুফ আলী বলেন, ‘ইজারা কমিটি আর খাস আদায় কমিটি দু’টি আলাদা। আমি ইজারা কমিটির আহবায়ক। খাস আদায়ের কোন কমিটি করা হয়েছে কী না, আমার জানা নেই। তবে খাস আদায়ের জন্য একটি চিঠি জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়েছে। তার কোন উত্তর এখনও আসেনি’।
বাগাতিপাড়া পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, নিয়ম মেনে খাস আদায় করা হচ্ছে। কমিটি আছে আর কমিটির আহবায়ক হচ্ছে প্যানেল মেয়র ও এসিল্যন্ডসহ অন্যরা সদস্য আছে আমি ওই কমিটির কেউ নই।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম রাব্বী বলেন, কমিটি না করে খাস আদায় অনিয়ম। মেয়র এটা করতে পারে না। এটা সরকারী আদেশকে অমান্য করা। খাস আদায় চলছে এটা আমার জানার বাইরে ছিল। এ ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেন তিনি।