নাটোর: নাটোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ গোলামুর রহমান। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ নইমদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্মারকলিপি পাঠ করেন রেজাউল করিম খান। জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদত্ত স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একজনকেও নেয়া হয় নি।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৪০ নম্বর চিঠির আলোকে উপজেলা ভাতা প্রদান কমিটিসমূহ জেলার ১৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে কমিটি স্বীকার করে, সকলের ভাতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঠিক হয় নি। কিন্তু অদ্যাবধি তাঁদের ভাতা চালু হয় নি। এই সময়ের মধ্যে অপমানিত, শোকে, দুঃখে কাতর হয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন।
নানা কারণে ও জাতীয় দিবসসমূহ পালনের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যথাযথ সমন্বয়ের অভাবে মাঝে মধ্যে কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রতিনিধি নির্বাচনে জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনা আশা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিকিৎসা, বিশ্রাম, বিনোদন, সংবাদপত্র পাঠ ও অবসর সময় কাটানোর জন্য নাটোরে একটি ‘মুক্তিযোদ্ধা সেবাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট অর্পিত জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি চাওয়া হয়।
সরকারি হাট-বাজার সমূহের ইজারালব্ধ আয়ের চার শতাংশ অর্থ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। প্রতি উপজেলায় এসংক্রান্ত একটি কমিটি আছে। কিন্তু অর্থ বিতরণে কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এখন থেকে সকল মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাঁর স্ত্রীর জন্য সমানভাবে অর্থ বিতরণের দাবি জানানো হয়।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নানা কাজে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। দীর্ঘ সময় তাঁদের বাইরে বসিয়ে না রাখার অনুরোধ জানানো হয়। জেলা প্রশাসক বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবেন বলে আশা করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ।