নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে ধর্ষণ মামলায় রাজা হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোহম্মদ আব্দুর রহিম এই দন্ডাদেশ দেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রাজা হোসেন লালপুরের ধনঞ্জয় পাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে আব্দুলপুর রেল স্টেশনে আসে মেয়েটি। পরে তাকে সেখান থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভ্যান যোগে মাধবপুর এলাকায় নিয়ে যায় রাজা। পরে তাকে পা¦র্শবর্তৃী আখের জমিতে নিয়ে ধর্ষন করে বিকেলে একই এলাকায় রাজা তার চাচার বাড়িতে রেখে যায় মেয়েটিকে। ৫ জুলাই সকালে বিয়ের কথা বলে কাজি অফিসে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে কে আব্দুলপুর এলাকায় রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি আব্দুরপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনা জানায়। এঘটনায় মেয়েটির বড়মা আম্বিয়া বেগম মেয়েটিকে নিয়ে লালপুর থানায় হাজির হয়ে রাজা হোসেনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। দীর্ঘ ২১ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতের বিচারক রাজা হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।