নাটোর অফিস ॥
নাটোর সদর উপজেলা স্বনির্ভর সমবায় সমিতি লিমিটেড ইউসিসি এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে বিজয়ী সভাপতি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ডলার তার সমর্থকদের সাথে গাড়ি বহর নিয়ে শহরে ফেরার পথে কানাইখালী এলাকায় হামলার শিকার হন। এসময় বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা বিক্ষোভ সহ সড়ক অবরোধ করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ইশতিয়াক আহমেদ ডলার অভিযোগ করেন, নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাই শরিফুল ইসলাম শরিফকে হারিয়ে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে শহরের দিকে ফিরছিলেন তিনি। এসময় শহরের কানাইখালি এলাকায় সন্ত্রাসী কুত্তা সেলিম ও তার সহযোগীরা তার মোটরসাইকেল বহরে হামলা চালায়। এসময় একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে তারা। এর প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল সহ সড়ক অবরোধ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার সময় জেলা আওয়ামীলীগের বৈঠকে উপস্থিত জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস,সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সহ নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সেখানে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে এবং পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ অভিযোগ করে বলেন, কুত্তা সেলিম ও তার লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ জানান, কুত্তা সেলিমসহ সকল হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। না হলে ছাত্রলীগ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
নাটোর পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি উমা চৌধুরী জলি বলেন, ঘটনার সময় কান্দিভিটা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে নবগঠিত জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম বৈঠক চলছিল। এই হামলার খবর পেয়ে সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস,সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। সেখা গিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় নেতা কর্মীরা।
সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে এই অবরোধ উঠিয়ো নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।