বাগাতিপাড়া: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। শনিবার সকালে মালঞ্চি বাজারে মাইকিং করে চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। চাল বিক্রেতারা কথার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে মাইকে বলছিলেন, মাথায় নষ্ট রে মামা, আসুন ‘চালের বস্তা একেবারে সস্তা, মাত্র ৯৫০ টাকা প্রতি বস্তা। পঞ্চাশ কেজি ওজনের এক বস্তা, চাল, সবাই আসুন, আমাদের প্রচার মাইক লক্ষ্য করে চলে আসুন, এখনই!’
চাল বিক্রেতারা মেসার্স ফুলজান এগ্রো ফুডস, খাজানগর বটতৈল, কুষ্টিয়া সাথী স্পেশাল, গোলাপফুল মার্কা, কুষ্টিয়া, মহিদুল এগ্রোফুড, কাটা চাল, চিংড়ি মার্কা খাজানগর, জগতি, কুষ্টিয়া প্রভৃতি মোকাম থকেে এনে বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন।
মালঞ্চি বাজারের মেসার্স সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী সিদ্দিকুর রহমান জানান, যে চাল মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে সেটা একটু লাল ধরনের। অটোমিল থেকে তৈরি এ চালের নাম চামড়ি চাল। বেশ কিছুদিন আগে চামড়ি চাল বাজারে এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে এ চাল ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাজারে নতুন চাল আমদানি হওয়ায় বর্তমানে এ চালের চাহিদা কম, ফলে লোকসানে বিক্রি করছি।
বিহারকোল মোড় বাজারে হক ট্রেডার্সের আব্দুল হক বলেন, এই চামড়ি চাল আগেও বিক্রি করেছি, সেটা বেশি দামে ক্রয় করা ছিল। লোকসান পুষিয়ে নিতে এখন নতুন করে আমদানি করে সর্বনিম্ন ৯৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২৫০ টাকায় প্রতি বস্তা বিক্রি করছি।
সোনাপাতিল মহল্লার আনোয়ার হোসেন বলেন, দাম কম হওয়ায় এক বস্তা চাল কিনেছি। খেতে স্বাদ কম। তবে দাম কম হওয়ায় গ্রামের অনেকেই কিনছেন। তবে কেউ নিজে খাচ্ছে, আবার কেউ বাড়ির গরু, ছাগল মুরগি জন্য কিনছেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, মাইকিং করে চাল বিক্রির বিষয়টি আমি শুনেছি। মূলত অটোমেটিক মিলে বাছাইকৃত নিম্নমানের এসব চাল কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে গরির দুঃখী মানুষরা উপকৃত হচ্ছেন।
এফআর/এসএন