নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরের হাঁসমারী গ্রামে মাদ্রাসার কর্তৃত্ব নিয়ে সেবা সংঘ নামের একটি ক্লাবে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ভোরে ওই হামলার প্রতিবাদে সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। এসময় স্থানীয় মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শি মো. ফখরুদ্দিন, আব্দুল মান্নান, শের মামুদ সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৬৮ সালে হাঁসমারী দারুল উলুম ফোরকানীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের উত্তরপাড়ার সকির উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম। তখন সভাপতি ছিলেন তারই চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম মাস্টার। কিন্তু তারা মাদ্রাসার কোনো হিসাব নিকাশ দিতেন না। উপরোন্ত গোপনে মাদ্রাসাটিকে এবতেদায়ী মাদ্রাসায় রুপান্তরিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এলাকাবাসী জানতে পেরে মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য নতুন কমিটি করেন। কমিটিতে সাইফুল ইসলামের অনুসারীদের বাদ দিয়ে দলিল লেখক আশরাফুল ইসলামকে সভাপতি ও মনিরুল মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে মাদ্রাসার কর্মকান্ড চালাচ্ছিলেন। এতে ভিতরে ভিতরে ফুসছিলেন সাইফুল ও তার অনুসারীরা।
এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে সানোয়ার হোসেন, ভাই লুৎফর ও তার ছেলে সুজন, সেলিম সহ ১০-১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে আশরাফ-মনিরুল অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় হযরত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৯) বাধা দিলে তাকে মারধর করে এবং ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হাঁসমারী সেবা সংঘ ক্লাবে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমার ভাই লুৎফরকে মারধর করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করা হয়েছে।
মশিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ধরণের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।