নাটোর অফিস॥
“আমি বাড়িত থ্যাকলে গরুগুলি মইল্যল্যানি। বার-তের সের কইরি দুধ হতো। দুধ বেইচি সুংসার চালাই আর বিটির বিয়ার জন্য কিছু কইরি টিকা গুচাই। একন কি কইরবো আল্লারে” এভাবে আর্তনাদ করছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লার ইয়াছিন আলীর দরিদ্র ভ্যান চালক ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫২)।
বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে দুইটি গাভিসহ চারটি গরু পুড়ে মরে যায় তার। গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম বলেন, রান্নার চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে ৪টি গরুসহ ৩০-৩৫ টি কবুতর পুড়ে মারা যায়। গোয়ালঘরসহ পুড়ে যায় তিনটি ঘর।
শহিদুলের স্ত্রী আনেছা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরুর পরিচর্যা করে তার স্বামী এবং বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে গরুর খাবারের টাকা জোগাড় করতো। দুধ বেচে সংসার চালাত এবং মেয়ে সাদিয়ার বিয়ের জন্য কিছু কিছু করে টাকা জোগাত।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ সবুজ বলেন, মুহুর্তের মধ্যে আগুনে শহিদুলের এতবড় সর্বনাশ হবে কল্পনাও করতে পারিনি। তার বাড়িতে ঢোকার রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। ফলে আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে।
নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর শহিদুলের জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন।