নাটোর্ অফিস॥
নাটোরে বাড়িতে লাগা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুধজান বিবি নামে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা। অগ্নিকান্ডের সময় দুধজান বিবি তার ঘরে শুয়ে ছিলেন। নাটোর থেকে দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও আগুনে একই পরিবারের ৯টি বসতঘরসহ ১৪টি কাঁচা ঘর ও মজুদ চালসহ মুল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার পাইকেরদৌল রিফুজি পাড়া এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত দুধজান ওই এলাকার মৃত মোছলেম উদ্দিনের স্ত্রী।
এলাকাবাসা জানায়, হঠাৎ করেই দুধজানের বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এসময় বাড়ির মানুষজন ছুটে বাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে এসে প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার স্টেশন কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই সবকিছু পুড়ে যায়। খোজাখুজি করে দুধজানকে তার ঘরের মধ্যে দগ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে ফায়ার কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে খবর পেয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি ক্ষতিগ্রস্থত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ৯টি পরিবারকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা এবং প্রতিটি ঘরের জন্য ২ বান্ডিল করে টিন বরাদ্দের ঘোষনা দেন। এছাড়া পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সাত্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, মরহুম মোছলেম উদ্দিনের স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আগুন লাগার সময় তিনি তার ঘরেই ছিলেন। ছেলে মেয়ে ও নাতি পুতি নিয়ে তিনি স্বামীর ভিটায় থাকতেন।
মোছলেম উদ্দিনের ছেলে আফছার আলী বলেন, তাদের পরিবারের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তারা এখন কোথায় থাকবেন সেই ঘরও নাই পড়নের কাপড়ও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নাটোর ফায়ার স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক একেএম মোর্শেদ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে আরো দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়নে আনে। আগুনে ৯টি কাঁচা বসত ঘর সহ মুল্যবান মালামাল পুড়ে গেছে। প্রতিটি কাঁচা ঘরের মধ্যে পাটিশানর্ দিয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করছিল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। আগুনে একজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুন লাগার সময় তিনি তার ঘরেই ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে চুলার আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়।
সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রত্যেককে একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হবে। এই মুহুর্তে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ পরিবারকে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকক ২বান্ডিল করে টিন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বলেছি। তাদের সহায়তার জন্য অন্যদের এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।