নাটোর অফিস ॥
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে সারা দেশের মত নাটোর স্টেশনেও শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ কার্যক্রম। বুধবার সকাল থেকেই নাটোর রেল স্টেশনে নতুন টিকেটিং পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন করতে হেলফডেক্স কাউন্টারে ভির করছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের মাধ্যমে রেলের টিকেটিং সাদরে গ্রহন করেছে নাটোরের রেলযাত্রিরা। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনই লাইনে দাঁড়িয়ে নতুন এই টিকেটিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন যাত্রীরা। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর টিকিট কাউন্টারে গিয়ে তারা টিকিট কাটছেন। যারা নিবন্ধিত হতে পারছেন তারা ভ্রমনের টিকিট সহজে কাটতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। যাত্রিদের অনেকের অভিযোগ,তারা জানেননা কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে বা টিকিট কাটতে হয়। অনেকেই এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেককেই জরুরী প্রয়োজনে স্টেশনে এসে ফিরে যেতে হয়েছে।
জুবায়ের হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এই টিকেটিং আমরা ভালো মনে করছি। যার যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকেট ইস্যু হলে কালোবাজারি থেমে যাবে।
জামিল হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এই মুহূর্তে রেলভ্রমণ করছি না। তবে আজ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলাম। ভারতসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে। আমাদেশ দেশে শুরু হওয়াটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। দিল আফরোজ বানু নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি দ্রুতযান ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য স্টেশনে এসেছেন। আজ থেকে এনআইডি ব্যবহার করে টিকেট কিনতে হবে তা আগে থেকে জানতাম। তাই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। পবিত্র ঈদে আমরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হই। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকতে ভোগান্তি সহ টিকেট কালোবাজারির থাবা থেকে মুক্ত হব।
সোহাগ হোসেন নামে ষাটোর্ধ এক যাত্রি চিলাহাটি যাওয়ার জন্য ১০ কিলোমিটার দুর থেকে এসেছেন। কিন্তু নতুন পদ্ধতির জন্য টিকিট কাটতে না পেরে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এই ব্যবস্থার আমরা কিছুই বুঝিনা। আগের ব্যবস্থাই ভাল ছিল।
নাটোরের স্টেশন মাষ্টার অশোক চক্রবর্তী বলেন, যাত্রিদের সহায়তায় হেল্পডেক্স স্থাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে আসছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে যাত্রিদের এবং জনসাধারনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছি। প্রথমদিকে কিছুটা চাপ মনে হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাবে। আমরা ধৈর্য ধরেই যাত্রিদের সেবা দিতে আগ্রহী। ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রুটের যাত্রীরা খুব শিঘ্রই নতুন এই পদ্ধতির সুফল ভোগ করবেন। আমরা যাত্রিদের থেকেও সহযোগিতা আশা করি।