নাটোর অফিস ॥
বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপরই অন্ধকার কেটে নতুন সূর্য উঠবে। এই সূর্য বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, মানুষের কথা বলার অধিকার। এই বছরই আওয়ামী লীগের শেষ বছর। বর্তমান স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে একটা ধাক্কা মারলেই তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতা না ছাড়বে, ততক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, তারেক রহমানের আন্দোলন, বিএনপির আন্দোলন এবং জনগণের আন্দোলন চলবেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সরকার পতন ঘটানো হবে।
শনিবার সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তত্ত্ববোয়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার দাবীতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু’র সভাপতিত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী শাহ্ আলম, সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন,ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন প্রমুখ।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দুলু বলেন, যতই ভয়-ভীতি দেখাক। এ ১৪ বছর অনেক কষ্ট করেছেন। আপনারা অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। সানাউল্লাহ নূর বাবু, রাকিব, সুজনসহ অসংখ্যক নেতাকর্মী ভাইদের হারিয়েছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা, নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তবুও তারা দল ছেড়ে কোথাও যায়নি। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই অন্ধকার কেটে নতুন সূর্য আসবে। এই সূর্য বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, মানুষের কথা বলার অধিকার। সামনে যত রকম আক্রমণ হোক না কেন আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
দুলু আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, তাদের মিছিলে আক্রমণ, বাড়িঘরে আগুন দেওয়া এ রাজনীতি আমি কখনও করিনি। আমি নাটোরের দায়িত্বরত মন্ত্রী ছিলাম। কখনও তাদের মিটিংয়ে হামলা, মিছিলে বাঁধা দেওয়া এমন রাজনীতি করিনি। আজ বড়ই কষ্ট লাগে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়, বাধা দেওয়া হয়। আজকের এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আটকানোর জন্য বিভিন্ন রকম পায়তারা করা হয়। আজকের পদযাত্রা শুরুর আগে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিএনপি নেতা কর্মীরা ভয়ে পিছপা হয়নি। তারা ধর্য্য ধারন করে শান্তিপুর্নভাবে কর্মসুচী পালন করেছে।