নাটোর অফিস ॥
নাটোরে উচ্চ বেতনে চাকরীর মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রতারনা করে বিদেশে পাঠানোর অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন (৪৮) নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার বড়াইগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন দুবাইয়ে অবস্থানরত তার ছেলে লিটন হোসেন (২৫) ও জামাতা মনছুর আহম্মেদ(৩৫) এর সাথে যোগসাজশ করে বিদেশে আদম পাচার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সে বড়াইগ্রাম উপজেলার দিগইর গ্রামের তায়জাল প্রামানিকের ছেলে। বৃহস্পতিবার র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার আটাই গ্রামের মৃত সুরমান প্রামানিকের ছেলে মন্টু প্রামানিকের (৪২) অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস মোড়ে ওয়ান-সেভেন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী মন্টু প্রামানিক অভিযোগ করেন, দেলোয়ার হোসেন ও দুবাইয়ে অবস্থানরত তার ছেলে লিটন হোসেন এবং জামাতা মনছুর আহম্মেদ একে অপরের যোগসাজসে মন্টু প্রামানিককে উচ্চ বেতনের চাকুরী দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ৩,৪০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক দল জাল কাগজপত্র দিয়ে মন্টু প্রামানিককে দুবাইয়ে পাঠায়। দুবাইয়ে যাওয়ার পর দুবাইয়ে অবস্থানরত দেলোয়ারের ছেলে ও জামাতা তাকে আটক করে রাখে। তারা কোন কাজের ব্যবস্থা না করে পাকিস্তানি দালালের নিকট বিক্রি করে দেয়। পাকিস্তানি দালাল তাকে দিয়ে জোরপূর্বক বিনা পারিশ্রমিকে ৯ দিন কাজ করায়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রের দেয়া বিদেশগামী কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মন্টু প্রামানিক বুঝতে পারেন যে তাকে দেয়া ভিসা গলাকাটা ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র জাল। কাগজপত্র সমূহ জাল বুঝতে পেরে বিদেশে অবস্থানরত লোকজনের সহায়তায় তিনি দেশে ফিরে আসেন। র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান,গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন প্রতারনার বিষয়টি স্বীকার করে র্যাবকে জানিয়েছে সে বিদেশগামী যুবকদের উচ্চ বেতনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং জাল কাগজপত্র দিয়ে বিদেশে প্রেরণ করত। বিদেশে অবস্থানরত তার অন্যান্য সহযোগীরা তাদের অবৈধভাবে আটক করে রেখে জোড়পূর্বক বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করাতে বাধ্য করত। ভিকটি এব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনে মামলা করেছেন।