নাটোর অফিস ॥
নাটোরে ব্যতিক্রমি আয়োজন ’পথ বই মেলা‘র মাধ্যেমে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানিয় দৈনিক প্রান্তজন গত পাঁচ বছর ধরে একদিন করে এই মেলার আয়োজন করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে শুরু হয় মেলার আনুষ্ঠানিকতা। ‘সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শ্লেট ও চকের মাধ্যমে ক্ষুদে শিশুদের হাতেখড়ি দিয়ে মেলার সূচনা হয়। সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গনে অজ¯্র পাঠক ও লেখক জড়ো হতে থাকে। ক্ষুদে পাঠকদের ভির ছিল চোখে পড়ার
মত। বই প্রিয় রাজনৈতিক নেতা,ব্যবসায়ী ,গৃহিনীসহ সব বয়সী মানুষের ভির ছিল মেলাকে ঘিরে। কথা সাহিত্যি, লেখক,ছড়াকার সব্ইা নিজেদের মত করে মেলায় এসে ভির করেন। মেলায় বেড়াতে এসে বর্নমালা শিক্ষা নিতে চক ও সিলেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্ষুদে পাঠকরা। অভিভাবক সহ সব বয়সী ও শ্রেণীর মানুষের ভিরে ভরে ওঠে মেলা চত্বর। একদিনের এই মেলায় এসে বিভিন্ন লেখকের বই দেখে তারা খুশী হচ্ছেন।
দৈনিক প্রান্তজন সম্পাদক মোঃ সাজেদুর রহমান সেলিমের পরিচালনায় দিনব্যাপী মেলায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তি এবং লেখকবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান, জজকোর্টের পিপি এডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাবে। মুক্তচিন্তা, মেধাভিত্তিক দেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বইমেলা পাঠকের সাথে বইয়ের মেলবন্ধন তৈরী করে।
মেলায় হাজির হয়ে আকর্ষন বাড়িয়ে তোলেন বাংলা একাডেমী পুরষ্কারপ্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার। তিনি বলেন, এমন আয়োজন গোটা দেশে সাড়া তুলেছে। অন্য বছরের মত এবারও বেশ বড়ো পরিসরে মেলার আয়োজন লেখক ও পাঠকদের মুগ্ধ করছে।
স্থানীয় শিক্ষাবিদ অলোক মৈত্র বলেন, দেশ প্রেম বাড়াতেই এমন আয়োজনের প্রয়োজন।
আয়োজক কমিটির সদস্য আতোয়া হোসেন বলেন, লেখক এবং পাঠকদের মূল্যায়ন করতেই এই আয়োজন।
দৈনিক প্রন্তজন সম্পাদক মোঃ সাজেদুর রহমান সেলিম বলেন, স্থানীয় লেখক,কবি ও সাহিত্যিক গোষ্ঠির সহযোগীতায় এই পথ বই মেলার আয়োজন করা হয়। অন্য বারের মত এবারও অর্ধশত লেখক,সাহিত্যিক,কবি ও ছড়াকার মেলায় এসেছেন।