নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নিমতলী পদ্মানদীর কিনারা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। পরে ইউএনও কাছে এসংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে লালপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্যদেন ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ টুটুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি শুকুর আলী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সুমনসহ আরো অনেকে। এসময় বক্তারা বলেন, উপজেলার ১ নং লালপুর ইউনিয়নের দিয়াড়বাহাদুরপুর দাগ নং-৩,৪ ও ৫ নং শীটে বালু মহাল ঘোষনা থাকলেও বালু ও মাটি দস্যুরা ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নিমতলী পদ্মা নদীর কিনারা থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু ও কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীভাঙনের আশঙ্কা বাড়ছে। এর প্রতিবাদ করলে বালু ও মাটি দস্যুরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। পরে তারা বালু ও মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ টুটুল ও সাজ্জাদ হোসেন সুমন অভিযোগ করে বলেন,বালু ও মাটি খেকোরা স্থানীয় এমপির অনুসারি হওয়ায় তারা শক্তিধর প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করায় তারা প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষন করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে নির্বিচারে ফসলি জমি কেটে মাটি ও পদ্মা নদীর কিনারা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এর আগে গত (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বালু মহলের বৈধ ইজারাদার দাবি করে ইজারা দেওয়া স্থানেই বালু উত্তোন করা হচ্ছে জানিয়ে উপজেলার লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহা সড়কের লক্ষীপুর বালুরঘাট এলাকায় ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের জনসাধারণের ব্যানারে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বালু মহল ইজারা নেওয়া অপর গ্রুপ।
এবিষয়ে বালু মহল ইজারা সংশ্লিষ্ট ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা কনক, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, সুমন আলী, সিদ্দিকুর রহমান, জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালু মহল ইজারা না দেয়ায় বহু মামলার আসামি টুটুল ও তার ভাই সুমন এপর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-ভরাট তুলে ব্যবসা করে আসছিল। কিন্তু এ বছর সরকার বালু মহল ইজারা দেয়। প্রায় পুরে ৬ কোটি টাকা দিয়ে তারা বালু মহল ইজারা নেন। তারা না পাওয়ায় প্রতিহিংসা দেখিয়ে ইজারা গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, পদ্মানদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।