নাটোর অফিস ॥
নাটোরে এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মোঃ তামিমকে (১৯) রাজশাহী থেকে আটক করেছে র্যাব। ধর্ষণ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে থাকার পর তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার মধ্যরাতে রাজশাহী মাহানগর এর কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ তামিম নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর পাবনাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোঃ তামিমের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সুত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তামিম। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ্যাপস ইমোতে কথাবার্তা হতো তাদের মধ্যে।ছাত্রীর মনে বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে তামিম। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারী ওই ছাত্রীকে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে আসে। এদিন রাতে ওই এলাকার একটি বিলের মধ্যে কলাবাগানে নিয়ে তামিম সহ তার সহযোগী পীরগঞ্জ মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ (২৬), চাঁনপুর পাবনা পাড়া গ্রামের সোনাউল্যাহর ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৩০) সহ অজ্ঞাত আরো দুইজন ভিকটিককে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আব্দুল মজিদ ভোররাতে ভিকটিমকে অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে রাজশাহী গামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বনবেল ঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ভিকটিমের অস্বাভাবিক দেখে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মোঃ তামিম , মোঃ আব্দুল মজিদ ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম নাম উল্লেখ সহ আরও অজ্ঞাত দুই জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামী আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান,ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যসহ ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার মধ্যরাতে রাজশাহী মাহানগর এর কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান মোঃ তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।