নাটোর অফিস ॥
রাতে বাড়ির সামনে দীর্ঘ সময় এক যুবককে অস্বাভাবিকভাবে বসে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম চাঁদ ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে দেখে ওই যুবক একজন প্রতিবন্ধি। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। পরে ওই যুবকের পরিচয় জেনে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম হেলাল হোসেন (২২)। সে জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই হাজীপাড়া গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে উপজেলার পেড়াবাড়িয়া মহল্লার জনৈক রাকিবুল ইসলাম চাঁদ এর বাড়ির সামনে বসে অস্বাভাবিক আচরন করছিল হেলাল নামের মানসিক প্রতিবন্ধী ওই যুবক। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে যুবক ও বাবার নাম সহ ঠিকানা সংগ্রহ করে পরিবারের কাছে খবর দেয়া হয়। হেলালের পিতা ওসমান গনী ও এক চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী হেলালের জন্ম নিবন্ধন, উপজেলা পরিষদের পরিচয়পত্র ও তার চিকিৎসা পত্র নিয়ে এলে তাদের কাছে উদ্ধারকৃত হেলালকে হস্তান্তর করা হয়।ওসি আরও জানান, হেলালের পিতার মুখে শুনে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র দেখে নিশ্চিত হয়েছেন হেলাল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী।
হেলালের পিতা ওসমান গনী বলেন, তার ছেলে ছোট বেলায় ভালোই ছিল। ৩ বছর আগে আস্তে আস্তে সে মানসিক রোগীতে পরিনত হয়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাবনার মানসিক হাসপাতালের ডাক্তারও দেখানো হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। সোমবার দুপুর থেকে তাকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ফেসবুকে তার ছবি দিয়ে একটা হারানো বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে বাগাতিপাড়া থানার ফোন কল পেয়ে নিশ্চিত হন যে হেলাল সেখানে আছে। মঙ্গলবার তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। এর আগেও হেলাল এভাবে নিখোঁজ হয়েছিল। তার ছেলেকে খুজে পাওয়ায় তিনি বাগাতিপাড়া থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।