নাটোর অফিস ॥
সাইনবোর্ড থাকলেও অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি নাটোরের সিংড়া উপজেলার শোরকোল আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নাটোরের তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাশ করতে পারেনি। এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮ জন। এরমধ্যে সাইনবোর্ড সর্বস্ব শেরকোল আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে একজন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছে। অপর ৭ জনের মধ্যে সিংড়ার আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৫ জন এবং নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর বহুমুখি হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় ২ জন অংশ নিয়ে কেউ পাশ করেনি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে নাটোরের শেরকোল আদর্শ মহাবিদ্যালয় সাইনবোর্ড পাওয়া যায়। কিন্তু কলেজটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। বোর্ডের কাগজপত্র অনুযায়ী এবছর কলেজটি থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেও সে ফেল করেছে। স্থানীয়রা জানায়,১৯৯৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর বেশ কিছুদিন কলেজ চললেও দীর্ঘ দিনে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় কলেজটির শিক্ষক কর্মচারী চলে গেছে। তাই কলেজটির এই বেহাল দশা।
এদিকে সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের স্কুল শাখা জাঁকজমকপূর্ণ থাকলেও কলেজ শাখায় এ বছর ৬ জন শিক্ষার্থী ফর্ম পুরন করেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র পাঁচ জন শিক্ষার্থী। রেজাল্টে সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এবিষয়ে জানতে স্কুলের অধ্যক্ষকে খুজে পাওয়া না গেলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনা মহমারির সময় ভালো শিক্ষার্থী না পাওয়া ও কলেজ সেকশন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভালো পাঠদান করা সম্ভব হয়নি। তাই তারা ফলাফল খারাপ করেছে।
এদিকে নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে এইচ এসসিতে এবার ২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তারাও ফেল করেছে।
হয়বতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন একই সুরে বলেন, করোনার কারনে ভাল পাঠদান করা যায়নি। শিক্ষার্থীও পাওয়া যায়নি। মাত্র দুজন পরীক্ষা দেয়। কিন্তু তারা ফলাফল খারাপ করেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।