নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পরিচয়হীন শতবর্ষী বৃদ্ধা জোসনা রানীর মৃত্যু হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুরে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবজারভেশন কক্ষে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যার পর বেওয়ারিশ হিসেবে ওই বৃদ্ধার লাশটি উপজেলার আনন্দনগর মহাস¥শানে দাহ করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অসুস্থ ওই নারীকে পাওয়া যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ব-প্রনোদীত হয়ে ওই দিন সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেসময় ওই নারীর মাথায় গুরুত্বর যখম ছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরিচর্যায় মাথার আঘাত শুকিয়ে এলেও হাটা-চলা করতে পারতেন না তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সেবিকা সিদ্দীকা জানান, ভর্তির দেড় মাসেও ওই নারীর পরিচয় মেলেনি। হাথে শাখা থাকায় প্রাথমিকভাবে হিন্দু ধর্মালম্বি বলে ধারণা করা হয়েছে। নিজের নাম ‘জোৎ¯œা রানী’ ছাড়া অন্য কিছু বলতে পারতেন না ওই নারী। কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু খাবার চাইতেন। তিনি বলেন, অসুস্থ ওই নারীর মাথায় পোকা ধরেছিল। হাসপাতালের নিবীর পরিচর্যায় মাথার ঘা সুকিয়ে এসেছিল। কিন্তু হাটা-চলা করতে পারতেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে নিয়োমিতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়নেই চিকিৎসা, খাওয়া-দাওয়া চলছিল। রোববার দুপুরে ওই বৃদ্ধা মারা গেলে উপজেলা প্রশাসনকে লাশটির সৎকারের জন্য জানানো হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও দেড় মাসেও বৃদ্ধার পরিচয় না পাওয়ায় লাশটি রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলার আনন্দনগর মহা স¥শানে দাহ করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় জানান, হাসপাতালে মারা যাওয়া বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি। একারণে বৃদ্ধের লাশটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকার করা হয়।