নাটোর অফিস ॥
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে স্মার্ট হবে দেশের স্বাস্থ্য সেবা। এই লক্ষ্য পূরণে দেশের ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে গত ১৪ বছরে দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। অবহেলিত গ্রামীণ জনপদে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে মানুষের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছেন। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার।
আজ শুক্রবার সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, সিংড়ায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দন্ত, চক্ষু ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। যাতে সিংড়ার সাধারণ মানুষ বিশ্বমানের সেবা পায়। ইতিমধ্যে সিংড়ার মাটিতে একটি হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৪ বছরে সিংড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসে সকল সেবা পাচ্ছেন। চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার মানুষ আগামীকে পাবে স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাত এখন অনেক অগ্রসর। গ্রামীণ জনপদে এই সেবা বিস্তৃত হয়েছে। এরফলে মানুষের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
সিংড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমূখ।
মাওলানা রুহুল আমিন জানান, দিনব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পে জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে আটজন বিশেষজ্ঞসহ মোট ৩০জন চিকিৎসক বিনামূল্যে অন্তত তিন হাজার রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করছেন। ক্যাম্পে বিনামূল্যে ওষুধও প্রদান করা হচ্ছে।