নাটোর অফিস ॥
নাটোরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জিকজ্যাক চুল্লী না থাকায় ৮ ইট ভাটা মালিককে ৩৮ লাখ টাকার অর্থদন্ড প্রদান করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। সোম ও মঙ্গলবার দুদিন নাটোর সদর ও লালপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার দিনব্যাপী অভিযানে লালপুর উপজেলার মঞ্জিলপুকুর এলাকায় জেএসবি ইট ভাটার মালিক হাফিজুল ইসলামকে সাত লাখ টাকা ও এমকে ইট ভাটার মালিক সবুর আলীকে পাঁচ লাখ টাকা এবং মাধবপুর এলাকার এইচবিআর ইট ভাটার মালিক মাসুদুর রহমানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া লালপুরের চর এলাকায় অপর একটি ড্রাম ভাটাসহ ইট গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশ অদিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা, অবৈধভাবে মাটি সংগ্রহ, জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করা এবং জিকজ্যাক চুল্লী না থাকায় অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার অভিযান চালিয়ে নাটোর সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পন্ডিতগ্রাম এলাকার সিএইচএন, এনকেসি, এসিএইচ এবং আরবিআর ইট ভাটা চার লাখ টাকা করে এবং সেনভাগ ঘোষপাড়া এলাকার বিটিবি ইট ভাটা তিন লাখ টাকা সহ ১৯ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা এবং স্কুলের এক কিলোমিটারের মধ্যে ভাটার অবস্থান থাকায় উল্লেখিত ৫ ভাটার মালিককে এই অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার বলেন, ইট ভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৩ এর বিভিন্ন ধারায় এই দন্ড প্রদান করা হয়েছে।