নাটোর অফিস ॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর রেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেনে কেটে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আজিমনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন গোপালপুর রেল ক্রসিং হয়ে ডবল লাইনের একটি লাইনের ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পিছনের দিকে আসা টঙ্গিপাড়া থেকে রাজশাহীগামী ধুসমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন তারা। অপর লাইন দিয়ে মালবাহি ট্রেন যাচ্ছিল। নিহতরা হলেন উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মৃত জসিমের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মনতাজ উদ্দিন (৫৫) ,নারায়নপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু শেখের ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন (৫৩) ও নারায়নপুর গ্রামের মেহেদী হাসান মনজুর রহমানের স্ত্রী ব্যাংক এশিয়ার গোপালপুর শাখার সার্ভিস অফিসার সাবিনুর খাতুন স্থানীয় এজেন্ট সাথী (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানাযায়, শনিবার দুপর ১২ টার দিকে ডবল (দুই) লইনের একটি দিয়ে একটি মালবাহি যাচ্ছিল। নিহতরা গোপালপুর রেল ক্রসিং এলাকা হয়ে অপর লাইনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে লাইনের পশ্চিম ধারের গ্রাম নারায়নপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় অপর লাইনে পিছন দিক দিয়ে আসা টঙ্গিপাড়া থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ধুসমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন তাদের চাপা দিয়ে যায়। এতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, জনগুরুত্বপুর্ন এই সাবেক গোপালপুর এবং বর্তমানের আজিমনগর স্টেশনে কোন স্টেশন মাষ্টার না থাকায় এই লেভেল ক্রসিংএ প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট সহ গোপালপুরে চিনিকল সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অথচ রেল বিভাগ জনবল সংকটের নামে গোপালপুর স্টেশন থেকে স্টেশন মাষ্টার সহ সকল জনবল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় স্টেশন সংলগ্ন রেল ক্রসিং এ প্রায় সময়ই গেইট বন্ধ থাকে। প্রয়োজনে আন্ডারপাস বা ওভার পাস নির্মাণ করে সমস্যা সুরাহ করার দাবি জানান তিনি।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান ট্রেনে কেটে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিহির রঞ্জন দেব বলেন, খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।