নাটোর: নাটোরে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কনফারেন্সে লীড ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক জেলার ২৫টি ব্যাংক থেকে ২০ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। এছাড়া ২৫টি স্টল থেকে সাজসজ্জা বাবদ অারো দেড় হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সিবিএ নেতাদের। এ বিপুল অর্থ আদায়ের ঘটনায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। তাদের দাবী, কনফারেন্স আয়োজনে প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়েও বেশি আদায় করেছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহে আসা গণমাধ্যমকর্মীদেরও বিব্রত করেছে লীড ব্যাংকটি।
জানা গেছে, শনিবার সকালে নাটোর এনএস কলেজ অডিটোরিয়ামে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়। কলেজ মাঠের একদিকে স্থাপন করা ২৫টি ব্যাংকের একটি করে স্টলে ছিলো না স্কুল ব্যাংকিং সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকসহ কয়েকজন করে শিক্ষার্থী কনফারেন্সে অংশগ্রহন করলেও আগত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের প্রতিনিধি নির্ধারিত টি-শার্ট, ক্যাপ না পেয়ে ফিরে গেছে। তাদের দাবী, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া দুপুরে সরবরাহকৃত মধ্যাহ্নভোজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আমন্ত্রিতদের অনেকেই। অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য আয়োজকরা গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানালেও তাদের বসার জন্য আসনের কোন ব্যবস্থা রাখেনি। সংবাদ সংগ্রহে আসা গণমাধ্যমকর্মীরা মিলনায়তনের বাইরে অবস্থান করলে জেলা শিক্ষা অফিসার রামজান আলী আকন্দ আয়োজকদের বসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করলেও তারা কোন সাড়া দেননি। এতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্তত আটজন গণমাধ্যমকর্মী ফিরে যান অনুষ্ঠানস্থল থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের কানাইখালীতে অবস্থিত একটি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এই আয়োজন সম্পন্নের জন্য পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের প্রয়োজন হয়না। অনেকটা বাধ্য হয়েই ব্যাংক প্রতি ২০ হাজার টাকা আদায়ের সিদ্ধান্তে তারা দ্বিমত পোষণ করেননি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অপর একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম রয়েছে। কিন্ত আমরা মুখ খুললে ঝামেলায় পড়তে হবে।’
জনতা ব্যাংক সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর যে কোন আয়োজনে সিবিএ নেতা হিসেবে সম্মানিত হয়ে থাকি। তবে এত বড় কনফারেন্সে সে সম্মানটুকু দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনি লীড ব্যাংকটি।’
এ ব্যাপারে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ কনফারেন্সের সকল কার্যক্রম বিভিন্ন উপ-কমিটির মাধ্যমে করা হয়েছে, আমি একা কিছুই করিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা উদ্যেশ্যপ্রণোদিত।’