নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে আলমগীর হোসেন (২৯) নামে এক যুবককে আটকে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে একটি অসাধু চক্র। পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। উপজেলার আহম্মেদপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদেরসহ ৬ জনের নামে আলমগীরের বন্ধু শহিদ রানা (২৬) বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আলমগীর জেলার সদর থানার বারুহাট গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। পেশায় ইন্সুরেন্স কর্মী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার আহম্মেদপুর বালিয়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুছেরে ছেলে নাফিউল ইসলাম (৩৩), মুক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (৩০), আবুল কালামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০), আলিফ শেখের স্ত্রী সোহাগী বেগম ও নলডাঙ্গা থানার মাধনগর গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী প্রিয়াংকা খাতুন (১৯)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আহম্মেদপুর এলাকা থেকে প্রিয়াংকা খাতুন (১৯) নামে একজন আলমগীরকে মোবাইল ফোনে ইন্সুরেন্স করার কথা বলে আহম্মেদপুর বাজারে ডেকে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরেতারা আলমগীরের মোবাইল থেকে বন্ধু শহিদ রানার মোবাইলে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। বন্ধুর জীবন বাঁচাতে চক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান শহিদ রানা। পরে এই ঘটনা নাটোর ডিবি পুলিশকে জানালে ডিবি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শংশ্লিষ্ট বিকাশের দোকান সনাক্ত করেন। আহম্মেদপুর বাজারে ওই বিকাশের দোকানে অভিযান করেন। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল নিয়ে আসামী নাফিউল ও জুয়েল রানা পালাতে গেলে তাদেরকে আটক করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নওপাড়া গ্রামের আলিফ শেখের বাড়ি থেকে আটক আলমগীরকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে আসামী আমিনুল ইসলাম, সোহাগী বেগম ও প্রিয়াংকা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় কৌশলে বাড়ি মালিক আসামী আলিফ শেখ পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার আলমগীরকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার আসামীদেরকে রোববার নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।