নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিধবা নারী ফাহিমা বেগম (৩২) এর রোপন করা প্রায় ৫০টি কলা গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে মৃত-স্বামীর বড় ভাই শাজাহান শেখের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিধবা নারী বাদী হয়ে শাজাহান শেখসহ তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফাহিমা বেগম উপজেলার বৃ-গড়িলা গ্রামের মৃত- ইসমাইল শেখের স্ত্রী।
বিধবা নারী ফাহিমা বেগম জানান, বৃগড়িলা গ্রামের শের শেখের ছেলে ইসমাইল শেখের সাথে তার বিয়ে হয়েছিলো। আনুমানিক দুই বছর পূর্বে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে তার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পরে তার স্বামীর রেখে যাওয়া নগদ টাকা ও কিছু পুকুর জোড়পূর্বক দখল করে নেয় স্বামীর বড় ভাই শাজাহান শেখ ও তার ছেলেরা। শুধু বাকি ছিলো স্বামীর রেখে যাওয়া বসত ভিটা। স্বামীর মৃত্যুর পর এতিম মেয়েকে নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় প্রায় ৫০টি কলা গাছ রোপন করেছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কলা বিক্রির উপযোগি হতো। কিন্তু তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্যে শাজাহান শেখ ও তার দুই ছেলে রাতের আঁধারে গত ( ৩০ নভেম্বর) তার নিজ হাতে রোপন করা বড় বড় ৫০টি কলা গাছ তারা কেটে নষ্ঠ করে দেয়। পরেরদিন গাছ কাটার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে বেধরক মারপিট করে তারিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে এই বাড়িতে আসলে তাকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়। তিনি তার এতিম মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন সেই দুশ্চিন্তায় আছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া বসত ভিটাতে স্থান না পেলে তার আর থাকার কোন জায়গা নেই।
অভিযুক্ত শাজাহান শেখ জানালেন, বসত ভিটা তার ভাই মারা যাওয়ার আগে তার স্ত্রী বা সন্তানের নামে লিখে দিয়ে যায়নি। তাছাড়াও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম এখানে থাকেনা। তাদের জায়গার গাছ তারা নিজেরা কেটেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন জানালেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।