নাটোর অফিস ॥
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় যাত্রিদের অবর্ণনীয় দুভোর্গ পোহাতে হয়। শুক্রবার সকাল থেকে বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে পণ্যবাহি ট্রাক করতে দেখা যায়। ইজিবাইক ও সিএনজি থ্রিহুইলার সহ হালকা যানবাহন চলাচল করেছে। এই ধর্মঘটের কারনে দ্বিতীয় দিনেও দুরপাল্লার যাত্রিদের দুর্ভোগসহ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া-খুলনা ও রাজশাহী রুটের যাত্রীরা নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে সড়কে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েন। সেখান থেকে থ্রি হুইলারে করে গন্তব্যে যেতে তাদের ৩ থেকে ৪ গুন বেশী টাকা গুনতে হয়েছে। চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে আসা রাজশাহীগামী যাত্রি হাসান জানান,তিনি নৈশ কোচে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। বনপাড়ায় এসে বলা হয় ধর্মঘটের কারনে তারা রাজশাহী যাবেননা। সেখানে আমাদের নামিয়ে দিলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বেশী টাকা দিয়েও থ্রিহুইলার যেতে রাজি হয়না। পরে অন্য একটি হালকা যানবাহনে উঠলেও চালক জানান তারা রাজশাহীতে যেতে পারবেননা। আজ থেকে সেখানে থ্রিহুইলার গাড়িও ধর্মট করছে। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী গাড়িতে করে নাটোরের বনপাড়ায় এসে নামেন হুসেন নামে এক যাত্রি। তিনি রাজশাহী যাবেন। কিন্তু কোন গাড়ি না থাকায় ইজি বাইকে নাটোর টার্মিনালে এসে জানতে পারেন রাজশাহী যাওয়ার কোন যানবাহন নেই। চরম দুর্ভোগের শিকার হন। তিনি জানতে চান ধর্মঘটটি কাদের জন্য কেন এই ধর্মঘট। ধর্মঘট দিয়েই দায় সারে পরিবহন মালিকরা। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রাখে না।’ সাধারন মানুষকে আর কতদিন জিম্মিকরা হবে।
এদিকে নাটোর বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের একটি সূত্র জানায়, এখনো পর্যন্ত কোনো আলোচনা না হওয়ায় পরিবহন ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রেখেছেন তারা।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে এই ধর্মঘটের ডাক দয়ো হয়নি। ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে তাদের এই ধর্মঘট। ২/১ দিনের মধ্যে তারা সরকারের পক্ষ থেকে ভাল খবর আশা করছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন,পরিবেশ স্বভাবিক রাখতে আইন শৃংখলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে।