নাটোর অফিস॥
নাটোরের নলডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলিম জীবন হত্যা মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার বড় ভাই ফয়সালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী। এসময় আদালতের বিচারক আশরাফুন নাহার রিটা শুনানী শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার পর আজ যংখযভা বিকেলেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা কারাগার থেকে থানা হেফাজতে নেয়া হবে। পাশপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এদিকে আদালত সুত্র ও মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আঞ্জুরায়া পারভিন রতœা জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাইদের পিটুনিতে আহত উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আসাদ ও তার দুই ভাইসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে ছাত্রলীগ নেতার মা জাহানারা বেগম নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদ তার বড় ভাই ফয়সাল ফটিকসহ আত্মগোপনে থাকলেও ছোট ভাই আলীম আল রাজি শাহ পুলিশের হাতে আটক হয়। তাকেও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদ আত্মগোপনে থেকে গত ৪ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন নিয়ে তার ভাই ফয়সালসহ এলাকায় আসেন। এলাকায় আসার পর দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয় এবং এলাকায় অশান্তি বিরাজ করতে থাকে। এনিয়ে পাল্টাপাল্টি আরো দুটি মামলা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ ও তার ভাই গত ৩১ অক্টোবর আদালতে জামিন নিতে গিয়ে আটক হন। পরে ১১ নভেম্বর ফের হত্যা মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। তার ছোট ভাই আলীম আল রাজি শাহ হত্যা মামলায় বর্তমানে জেলা কারাগারে আছে।
অ্যাডভোকেট রতœা বলেন, এ মামলায় তারা ন্যয় বিচার পাবেন বলে আশা করছি। মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম।