নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়া থেকে নকল সোনার মুর্তি বিক্রি করে প্রতারনা করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাতে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম রোববার এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করলে র্যব-৫ এর একটি দল রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো । মোঃ মন্টু (৪০), মোঃ মুকুল (৪৪), মোঃ শফিকুল (৩০), মোহাম্মদ আলী (৪০), মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫৫) মোঃ রজিম আহম্মেদ(২২) ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর লাঙ্গলমোড়া এলাকায়। অন্যদের সকলের বাড়ি সিংড়ার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকায়।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ও উপ অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম নামে করেন গত মার্চ মাসে রাজশাহীর বাঘা এলাকার শাহদোলা মাজার জিয়ারতের সময় মাজারে পরিচয় হয় প্রতারক চক্রের একজনের সাথে। পরে তার সাথে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতেও নিয়ে যায় সে। বন্ধুত্বের সম্পর্কে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য তার এক সজনের পুকুর কাটার সময় পাওয়া একটি স্বর্ণের মুর্তি পাওয়ার কথা বলে এবং মুর্তির একটি হাতের অংশ স্বর্ণকারের দোকাণে নিয়ে পরীক্ষা করালে তা স্বর্ণ বলে জানায় স্বর্ণ দোকাণী। এতে বিশ্বাস জন্মালে তরিকুল সেটি ২ লাখ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে সেটি স্বর্ণের দোকানে পরীক্ষা করাতে গেলে স্বর্নকার জানায় পুতুলটি নকল। এবিষয়ে তরিকুল ২০ নভেম্বর অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য।
র্যাবের কর্মকর্তারা আরো জানান, পলাতক ও ধৃত আসামীগন পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সোনালী রংয়ের পুতুলকে স্বর্নের পুতুল বলে বিশ্বাস করিয়ে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম সিংড়া থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন।