নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে হাসি খাতুন (১৪) ও খুশি খাতুন (১৪) নামে কিশোরী দুই যমজ বোন নিজেদের মধ্যেকার মান অভিমানকে কেন্দ্র করে এক সাথে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে হাসি খাতুন মারা যায়। অপর জন খুশি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলার বিয়াঘাট সুজার মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যমজ দুই বোন ওই এলাকার মোঃ ফারুক হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাসি খাতুন ও খুশি খাতুন যমজ ওই দুই বোন উপজেলার বিয়াঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার সময় নিজ বাড়িতেই হাসির সাথে খুশির কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে দুই বোনের মধ্যে মান অভিমান শুরু হয়
। পরে দুপুর ১টার দিকে খুশির ওপর রাগ করে হাসি বাড়িতে থাকা জমির কীটনাশক বিষ পান করে। বোন হাসি কীটনাশক পান করায় পরে খুশিও ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসির অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সুজা এক বোনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার প্রতিবেশি ফারুক হোসেনের যমজ দুই মেয়ে কীটনাশক জাতীয় বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসি মারা যায় এবং খুশীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এক মেয়ের মৃত্যুর খবরে মা সাগরিকাও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। দুই বোনের মধ্যে মান অভিমান কেন্দ্র করে তারা দুজনই বিষ পান করে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন জানান, লোকমুখে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।