নাটোর অফিস॥
ছোট ভাইকে বিয়ে দিয়ে স্বামীসহ মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন পান্না বেগম (৪৪)। পথে সিরাজগঞ্জের ঝাঐল ওভার ব্রিজ এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)সহ ৪জন প্রাণ হারান। এসময় আহত হন অপর ৯ জন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত অপর ২জন হলেন মাইক্রো চালক বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলামে ছেলে সেলিম হোসেন (৩৫) এবং কনে পক্ষ মানিকগঞ্জের রফিকুল ইসলাম (৪৫)।
আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভাবে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু (পশ্চিম) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ঢাকার দিক থেকে একটি হাইস মাইক্রোবাস নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে নির্মাণাধীন সাঐল ওভার ব্রিজ এলাকায় বিপরিত দিক থেকে আসা তিশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস বিকল হয়ে দাড়ানো অবস্থায় দেখতে পায় মাইক্রো চালাক। এসময় দ্রুত থামাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিং এ ধাকাক লাগে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই পান্না বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, রফিকুল ইসলাম এবং চালক সেলিম হোসেন মারা যান। এসময় অপর ৯ যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথম সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পান্নার বোন হীরা বেগম, স্বামী জুয়েল রানা, ছেলে লাবিব ও গালিবকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ও বড়াইগ্রামের ইউএনও মারিয়াম খাতুন মঙ্গলবার বিকেলে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তোপ্তর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে ময়না তদন্ত শেষে সন্ধায় নিহত পান্না ও জাহাঙ্গীরের লাশ বনপাড়ার বাড়িতে আনা হলে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করেন। পান্নার লাশ তার নানার বাড়ি কুমরুল গ্রামের এবং জাহাঙ্গীরের লাশ বনপাড়ায় দাফন করা হয়। রফিকুলের লাশ তার স্বজনরা মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ে যান। আর চালক সেলিমের লাশ তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।