নাটোর অফিস ॥
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়ার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিকারির কবজা থেকে ১৫ বন্দি পাখি উদ্ধার করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মীরা। এসময় সোহেল নামে এক কিশোর পাখি শিকারিকে ধরা হলেও তাদের মুচলেকা নিয়ে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়। এবং পাখি শিকারে স্থানীয়ভাবে তৈরি বিশেষ ফাঁদ ৩টি কিল্লা ঘর ধ্বংস করা হয়। পরে পাখিগুলো শামারকোল বাজার ও চামারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবমুক্ত করা হয়। সোমবার কাকডাকা ভোর রাতে চলনবিলের দুর্গম সামারকোল গ্রামে এই অভিযান চালায় পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্ষার শেষ ভাগে ও শীতের শুরুতে চলনবিলে প্রতি বছরের ন্যায় পাখি শিকারির দৌরাত্ম বেড়ে যায়। পানি কমার সাথে সাথে এবারও শিকারিদের দৌরত্ম বেড়েছে কয়েক গুন। এসব পাখি শিকার রোধ সহ চলনবিলের পরিবেশ রক্ষায় কয়েক বছর ধরে কাজ করছে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি। এই সংগঠনের এক ঝাঁক তরুণ চলনবিলে পাখি ও প্রকৃতি বঁচাতে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে। সোমবার কাকডাকা ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজে এবং প্রায় তিন কোলোমিটার পথ কাঁদা-পানি মাড়িয়ে চলনবিলের দুর্গম সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের সামারকোল বিলে অভিযান চালায়। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি পাখি ধরার ফাঁদ ৩টি কিল্লা ঘর থেকে ১৫টি বকপাখি উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখানে সোহেল নামে কিশোরকে ধরা হলেও আর কোন দিন পাখি শিকার করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়। পরে উদ্ধারকৃত ১৫ বক পাখি শামারকোল বাজার ও চামারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া পাখি শিকার বন্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী শারফুল ইসলাম খোকন, আব্দুর রশিদ, জুবায়ের হক, আবু কাহার, হাবিব প্রমাণিক, রিপন হোসেন প্রমূখ।