নাটোর: দুটি গণমাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ এগ্রো লিমিটেডকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রচারসহ প্রাণ এগ্রো লিমিটেড বন্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ,মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছে নাটোরের আম চাষী, মৌসুমী ব্যবসায়ী, সরবরাহকারী ও এলাকালাবাসী।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে কয়েকশ আম চাষী, মৌসুমী ব্যবসায়ী, সরবরাহকারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। এসময় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ওই দু’টি গণমাধ্যমে প্রাণ কোম্পাণীল বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ এবং প্রাণ কোম্পাণীতে কাঁচামাল বিক্রির নিরাপত্তা বিধানসহ ৫ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করে তারা। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের কাছেও স্মারকলিপি দেয় তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, স্বনামধন্য প্রাণ এগ্রো লিমিটেডে দেড় যুগের অধিক সময় ধরে উত্তরাঞ্চলের স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে রয়েছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত দেশ সেরা আম ও মসলা জাতীয় ফসল এক সময় ন্যায্য দামের অভাবে সাধারন চাষীদের গলার কাঁটা হয়েছিল। উৎপাদিত কিন্ত অবিক্রিত এই সব ফসল নিয়ে কৃষকের দুঃচিন্তার শেষ ছিল না। এমন যখন অবস্থা তখন প্রান্তিক চাষী ও সরবরাহকারীদের পাশে দাঁড়ায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেড। নাটোরের প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানাটি স্থাপিত হবার পর থেকে শুধু গুটি আমই নয় সুমিষ্ট আমেরও সুদিন শুরু হয় । এতে করে আমের ব্যাপক চাষাবাদের সাথে মসলা জাতীয় ফসলেরও উৎপাদন বিপ্লব হয়। ফলে পাল্টে যায় সমগ্র নাটোরের আম ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনের চিরায়ত চিত্র। প্রতিষ্ঠানটির কল্যানে নাটোরে বেড়েছে কর্মসংস্থান, ভাগ্য ফিরেছে আমচাষী ও সরবরাহকারীদের। এতদসত্বেও যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা প্রাণ এগ্রোর বিরুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে। অন্য কোন গণমাধ্যমে নয়, তারা ধারাবাহিক ভাবে এ দুটি গণমাধ্যমে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডকে নিয়ে প্রচার করছে মনগড়া সংবাদ। প্রাণ এগ্রো লিমিটেড নাটোর কারখানায় কর্মরত প্রায় ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী- শ্রমিক, লক্ষাধিক আম ও সমজাতীয় ফসল চাষী এবং সরবরাহকারীর জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখ ঠেলে দিতে তারা তৎপরতা শুরু করেছে।
স্মারকলিপি প্রদানের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাটোর তথা দেশের উন্নয়নে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের নিরবিচ্ছিন্ন ভূমিকা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্রমিক, চাষী, সরবরাহকারী ও এলাকাবাসী।