নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামীর মোটরসাইকেলে চেপে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রওশনারা বেগম (৪৩) নামে এক স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নগর ইউনিয়নের জালোড়া কালিবাড়ি এলাকায় লক্ষীকোল-কয়েন গ্রামীণ সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
রওশনারা বেগম জালোড়া গ্রামের ফিরোজ হোসেনের স্ত্রী এবং মল্লিকপুর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আলীর মেয়ে। তিনি মশিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হলেও বর্তমানে ডেপুটেশনে সাতৈইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
স্থাণীয়রা জানান, সকালে ওই শিক্ষিকা স্বামীর মোটরসাইকেলে চেপে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে জালোড়া কালিবাড়ি এলাকায় বালু বোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে পাস কাটিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা লাগে। এ সময় তারা স্বামী-স্ত্রী সড়কের উপর ছিটকে পড়লে ট্রাকটি রওশনারা বেগমকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রওশনারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
রওশনারা বেগমের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আলী বিলাপ করতে করতে বলেন, শিক্ষা অফিস মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে সাতৈল স্কুলে ডেপুটেশনে দিছে। দুরের স্কুলে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে উঠে আজ আমার মেয়েকে প্রাণ দিতে হলো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রেজাউল হক বলেন, রওশনারা বেগম অন্যন্ত বিনয়ী কর্মঠ শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে চাকুরী জীবন শুরু করেন। তার মৃত্যুতে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার শোকাহত।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে