নাটোর অফিস ॥
নাটোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান প্রশাসক সাজেদুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাতীয় পার্টির ড.নুরন্নবী মৃধা। বাছাইয়ে ড.নুরন্নবী মৃধার প্রার্থীতা বাতিল হলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু অপিল করার পর জাপা প্রার্থী প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় সে সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়। রোববার প্রার্থীতা প্রত্যাহারে শেষ দিনেও কেউ প্রত্যাহার না করায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি হবে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ড.নুরন্নবী মৃধা বলেন, তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়। বাছাইয়ের দিন তার প্রস্তাবক ও সমর্থককে অপহরণ করে ষড়যন্ত্র মুলকভাবে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। পরে তিনি আপিল করে তার প্রার্থীতা ফিরে পেলে সত্যের পক্ষে তিনি প্রথম রায় পান। আগামী ১৭ অক্টোবরেও তিনি তার বিজয় আশা করছেন। তবে ইভিএমএ ভোট গ্রহণের কারনে তিনি শংকায় রয়েছেন। গণনায় তাকে হারানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তিনি শংকায় রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে যে সাড়া পেয়েছি তাতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হলে তার বিজয় সম্পর্কে শতভাগ আশাবাদি ছিলেন। তাই নির্বাচন অফিসার সহ রির্টানিং অফিসারের কাছে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করার আবেদন জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীহ প্রার্থী বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা বর্তমান প্রশাসক সাজেদুর রহমান খান তার বিজয়ে শতভাগ আশাবাদি বলে জানান। তার পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন,যারা ভোট দিবেন সে সব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আওয়ামীলীগের নেতা,কর্মী ও সসমর্থক। তারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কখনই ভোট দিবেননা। বর্ষিয়ান এই নেতার বিরুদ্ধে দলের আর কেউ প্রার্থী হননি। নাটোরে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ । সকলেই সাজেদুর রহমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তিনি জাপা প্রার্থীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে বলেন,মিথ্যা অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসতে চেয়েছেন তিনি। জাতীয় পার্টির ওই প্রার্থীকে তার দলেরই অনেকে চেনেনা।তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন আমলা। এধরনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা তার পক্ষেই সম্বব। যারা তার প্রস্তাবক ও সমর্থক ছিলেন তারাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। তিনি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ারুল হক বলেন,প্রত্যাহার শেষে নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমানে চেয়াম্যান পদে ২ জন, সাধারন সদস্যপদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা রির্টারিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, কাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ইভিএমএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠ ও স্বতস্ফুর্তভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।