নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে পরিবেশকর্মীদের অভিযানে শিকারীর হাত থেকে উদ্ধার হওয়া ৯১টি পাখি মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পরিবেশকর্মীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন।
মঙ্গলবার ভোরের আলো না ফুটতেই গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে পরিবেশকর্মী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মেহেদী হাসান তানিম ও রাসেল আহমেদ গুরুদাসপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ধারাবারিষা ইউনিয়নের চরকাদহ গ্রাম ও মশিন্দা ইউনিয়নের হাঁসমারি গ্রামের মাঠে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চরকাদহ গ্রামের মাঠে জালে আটকে যাওয়া ১০টি শালিক পাখি, হাঁসমারি মাঠ থেকে শিকারীর তৈরি ফাঁদ থেকে ৭০টি ঘুঘু পাখি ও শিকারীর বাড়ি থেকে খাঁচা বন্দি শিকারি বক পাখি একটি, কোড়া পাখি একটি, ডাহুক পাখি দুইটি ও ঘুঘু পাখি ৭টি উদ্ধার করা হয়। মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া পাখি গুলো মাঠেই অবমুক্ত করা হয়। পরে ১১টি খাঁচা বন্দি শিকারী পাখিকে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আ¤্রকাননে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে শিকারের জন্য ব্যবহার করা ৩০০ মিটার কারেন্ট জালের ফাঁদ, লোহার ৫০ মিটার ফাঁদ ও ১২টি খাঁচা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে শিকারীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে আটক করা সম্ভব হয়নি।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, এখন চলনবিলসহ গুরুদাসপুর উপজেলার নদী,নালা,খাল,বিলে পানি কমতে শুরু করেছে। এই সময় অতিথি পাখিদের বেশি চোঁখে পড়ে। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য অবাধে পাখি শিকার করে। এই পাখি গুলো উপজেলাব্যাপী বিক্রি হয়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় পাচারও করা হয়। আমরা পরিবেশকর্মীরা প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে অভিযান পরিচালনা করি। জীববৈচিত্র রক্ষায় ও পাখি শিকার বন্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।