নাজমুল হাসান.
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক ঘন্টা দেরি করে আসায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি এসএসসি দাখিল পরীক্ষার্থী মোছাঃ সাদিয়া খাতুন (১৮)। শনিবার সকাল ১১টায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে হাদিস মানউন্নয়ন পরীক্ষা ছিলো সাদিয়ার। সাদিয়া উপজেলার আলীপুর দাখিল মাদরাসা’র শিক্ষার্থী। উপজেলার কান্দাইল গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে তিনি।
জানা যায়, আলিপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ২০২০ সালে অটোপাশ করে সাদিয়া। অটোপাশ রেজাল্টে খুশি হতে পারেনি। এ কারণেই ২০২২ সালে এসে ভাল রেজাল্টের আশায় মানউন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। প্রথম পরীক্ষা ভাল ভাবে দিলেও শনিবার অনুষ্টিত (হাদিস) পরীক্ষা দিতে পারেনি। নাজিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোযোগে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলো সাদিয়া। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িটি নাজিরপুর এলাকায় নষ্ট হয়ে যায়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষককে গাড়ি নষ্ট হওয়ার কথা জানালে তিনি আরেকটি অটো গাড়ি নিয়ে এসে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষনে বেজে যায় দুপুর ১২টা। এক ঘন্টা দেরি করে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি সাদিয়া।
পরীক্ষার্থী সাদিয়া জানায়, করোনার সময় আমাদের এসএসসি দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হয়ে আমাদের অটোপাশের ফলাফল দেওয়া হয়। অটোপাশ রেজাল্ট আমার পছন্দ হয়নি। এ কারণে ভাল ফলাফল পাওয়ার আশায় এ বছর নতুন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ কি.মি। ব্যটারিচালিত অটোযোগে পরীক্ষা কেন্দ্রে রওনা হয়েছিলাম। রাস্তায় গাড়িটি নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক সময় ব্যয় হয়ে যায়। পরে আমার মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল বাছেদ আরেকটি গাড়ি নিয়ে আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু এক ঘন্টা দেরি হয়। এক ঘন্টার মধ্যে আমার এমসিকিউ পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। বাকি এক ঘন্টায় পরীক্ষা দিয়েও ভাল রেজাল্ট হবে না তাছাড়াও কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্তপক্ষ আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। তারপর বাড়ি চলে আসছি।
শিক্ষক আব্দুল বাছেদ জানান, গাড়ি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে জানার পরপরই নতুন করে আরো একটি গাড়ি নিয়ে সাদিয়াকে সময়মত কেন্দ্রে পৌছানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরও এক ঘন্টা দেরি হয়ে যায়। এ কারণে তার পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কেন্দ্র সচিব আমাকে ফোন কলের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এক ঘন্টা পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার সুযোগ নেই।