নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত ২২ গরু ও ৩ টি ট্রাক উদ্ধার সহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অপর একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের ফজলে রাব্বি(২৬), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চকডমর গ্রামের সেকেন্দার আলী (৪০) , কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলান মির্জাপুর গ্রামের শিশির মন্ডল(৩২) ও বাগতীপাড়ার মিন্টু ব্যাপারী (৪০), সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওখাদা গ্রামের রাসেল ব্যাপারী (৩০) এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যাপারী পরিচয়ের আড়ালে গরু ছিনতাই করতেন ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান পিপিএম বলেন, জনৈক মোহম্মদ আলী তার কয়েকজন সঙ্গীসহ পটুয়াখালী থেকে ১৩ টি গরু ভর্তি ট্রাক নিয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে আসছিলেন। ৩০ আগষ্ট রাতে নাটোরের বনপাড়া-পাবনা সড়কের বড়াইগ্রামের শিবপুর এলাকায় পৌছিলে ডাকাত দল অপর একটি ট্রাক দিয়ে তাদের পথরোধ করে। এসময় ডাকাতরা তাদের হাত-পা বেধে অন্যত্র ফেলে রেখে গরুভর্তি ট্রাক নিয়ে চলে যায়। অপরঘটনাটি ঘটে ৬ সেপ্টেম্বর। জনৈক মাহিন ইসলাম শাহিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি হাট থেকে কেনা ১০ টি গরু ট্রাক ভর্তি করে কয়েক সঙ্গী সহ টাঙ্গাইলে ফিরছিলেন। পথে পাবনা-বনপাড়া সড়কে বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েন গ্রামের ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা একই কায়দায় ট্রাক দিয়ে গরুবোঝাই ট্রাকের বেরিকেড দেয়। এসময় তারা সকলকে হাত-পা বের্ধে ফেলে রেখে ১০টি গরু ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হওয়ার পর আমার নিদেশ পেয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীবের নেতৃত্বে পুলিশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিশ্লেষন এবং মাঠ পর্যায়ে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে ১ সেপ্টেম্বর বাড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস থেকে ফজলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুন্ঠিত ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লালপুরের চানপুর এলাকা থেকে সেকেন্দার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাতদলে অপর ৪ সদস্য শিশির মন্ডল ও বাগতীপাড়ার মিন্টু ব্যাপারী , সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওখাদা গ্রামের রাসেল ব্যাপারী এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে লুন্ঠিত ২২ গরু,দুটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তাদের একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়। এসপি সাইফুর রহমান আরো জানান,গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যাপারী পরিচয়ের আড়ালে গরু ছিনতাই করতেন । তদন্তে এই ডাকাতির ঘটনার সাথে আরো অনেকে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।