নাটোর অফিস ॥
সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির অভিযোগে নাটোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আশরাফকে তলব করেছে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্টে‘ এ জন্মস্থান সংক্রান্ত গরমিল থাকার কারণ দেখিয়ে মোছা: রওশন আরা বেগম নামে এক পাসপোর্ট গ্রহীতাকে হয়রানি করার ঘটনায় ওই নারী আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন রোববার দুপুরে এ আদেশ দিয়েছেন। আদেশে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নাটোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আশরাফের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না স্ব-শরীরে হাজির হয়ে আদালতকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ মাববাধিকার নাটোর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট সোহেল রানা বলেন, সেবা গ্রহীতাকে অযথা হয়রানি করা চরম মানবাধিকার লংঘন। এছাড়া নাটোর পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম, দুর্ণীতি ও অযথা হয়রানির বিষয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে হেতু, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের শুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাটোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আশরাফ বলেন, আদালতের নির্দেশ তিনি পেয়েছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই তিনি নির্ধারিত দিনে এবং যথা সময়ে আদালতে শ্বশরীরে হাজির হয়ে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিবেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী সেবা গ্রহিতার বিষয়টি তিনি অবগত নন এবং সেবা গ্রহিতা এধরনের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে তাকে অবগত করেননি বা তার কাছে জানতে চাননি বা আসেননি। কেননা নিয়ম অনেক সময় অস্পস্ট থাকে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় পরিবর্তন লাগে। তবে তা ম্যান্ডেটরি নয়। যেহেতু প্লেস অব বার্থ -এর ক্ষেত্রে এনআইড কার্ডে ‘রাজশাহী’ এবং এমআরপি পাসপোর্টে‘ এ ‘নাটোর’ দু’টি স্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবুও এবিষয়ে জানতে তিনি আমাকে জানাতে পারতেন। তাকে হয়রানি করার অভিযোগ সঠিক নয়। সহকারী পরিচালক আলী আশরাফ জোর দিয়ে বলেন,নাটোর অফিসে যোগদানের পর থেকে তিনি স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ যাতে হয়রানির শিকার নাহন সেদিক লক্ষ্য রেখেই তার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।