নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার এড়াতে নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁন্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই অভিযোগ করেন। একই সাথে অভিযুক্ত ওয়াদুদ সরকারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
চাঁন্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত সোমবার আওয়ামীলীগে চিহ্নিত অনুপ্রবেশকারী জামায়াত নেতার ভাই ওয়াদুদ সরকার চাঁন্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদ ওবায়দুল হককে স্কুল মাঠে লাঞ্চিত করেন। এঘটনায় মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ওয়াদুদ সরকারের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ করেন এবং প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার ওয়াদুদ সরকার কিছু ভাড়াটিয়া দিয়ে নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবী করে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করান। তাই তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ভূয়া পদবী ব্যবহারের অপরাধে দলীয় শাস্তির দাবী জানান ফরিদুল। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইসরাইল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নিখিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, সদস্য আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন শাধিক স্থাণীয় নেতা-কর্মী।
এ বিষয়ে ওয়াদুদ সরকার বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আমি কোন ভূয়া পদবী ব্যবহার করিনি। জেলা আওয়ালীগের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমানের হাতে গড়া কমিটিতে আমি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বলেন, যেকোন প্রকার অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাঁন্দাই বাজারে নিয়মিত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে ওয়াদুদ সরকারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।