নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে রহিমা বেগম নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাগাতিপাড়া পৌরসভার লক্ষনহাটি মহল্লায় বাড়ির পাশে সড়কের ধারের ছোট্ট একটি গাছে মৃতদেহটি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। নিহত রহিমা বেগম ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে নিহতের বড় ছেলে মজিবর রহমান মায়ের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায় । সে ঘরের ভিতর ঢুকে মাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করলে ছোট ভাই শরিফুলও বেরিয়ে আসে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে ছোট একটি গাছের সাথে হাঁটু গেড়ে বসা এবং দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ দেখতে পান তারা। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পরামর্শে বিষয়টি পুলিশকে জানায় তারা। খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
নিহতের বড় ছেলে মজিবর জানান, তার মা তার কাছেই থাকতেন। প্রতিদিন সকালে মায়ের ঘর তিনি পরিস্কার করেন। বৃহস্পতিবার ঘরের দরজা খোলা দেখে ভিতরে উকি দিয়ে মা দেখতে না পেয়ে খুজতে থাকেন। তার ডাকাডাকিতে ছোট ভাই শরিফুলও বের হয়ে আসে। এক পর্যায়ে তারা মাকে বাড়ির পাশে একটি ছোট গাছে তার মাকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান এবং স্থানীয় মেম্বারের পরামর্শে পুলিশে খবর দেন। তাদের দুই ভায়ের সন্দেহ তার মাকে খুন করা হয়েছে।
শরিফুল বলেন,তারা ৫ ভাইবোন। এক বোন মারা যাওয়ার পর ২ ভাই ২ বোন রয়েছেন। সবার আলাদা সংসার হলেও একই বাড়িতে থাকেন। মা কখনও আমার কাছে কখনও বড় ভাইয়ের কাছে থাকেন। বড় ভাইয়ের বউ তার ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন। বড় ভাইয়ের সাথে ভাবির সর্ম্পক ভাল নয় দীর্ঘদিন ধরে। ভাবী ও তার ছেলে মাঝে মধ্যে এসে তার মায়ের কাছে টাকার দবি করতেন। না দিলে গালমন্দ করে চলে যেতেন। বুধবার বিকেলেও তারা এসে মাকে গাল মন্দ করে চলে যায়। তার মাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে।