নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে বিএনপির কর্মসুচীতে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লালপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. ইয়সির আরশাদ রাজন। পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এজাহারনামীয় ৫৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
আটককৃত দুইজন হলো- দক্ষিণ লালপুরের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা তুহিন (৪২) ও পালিদেহা গ্রামের ছইর উদ্দিনের ছেলে মহির উদ্দিন (৫৮)।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালপুর উপজেলার গৌরীপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল এর বাসভবনের সামনে জেলা বিএনপির সদ্য প্রয়াত আহবায়ক আমিনুল হকের শোকসভা ও কেন্দ্রিয় বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসুচীর আয়োজন করে লালপুর উপজেলা ও গোপালপুর পৌর বিএনপি। গৌরিপুরে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের বাস ভবনে সমাবেশ করার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পালিদহ এলাকায় গেলে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ ও দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০ জন বিএনপি কর্মী আহত হয়। আহতরা হলো আব্দুল মজিদ, আমির হোসেন, আলি আহমেদ (৬০), আনোয়ার (৫০), জিল্লুর রহমান (৩৮), আসমত আলী, আফসার, জাহাঙ্গীর, জামিরুল ও জিল্লুর রহমান নামে বিএনপির দশজন কর্মী আহত হয়। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
লালপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন বলেন, বিএনপির সমাবেশ কে কেন্দ্র করে একদিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগ প্রোগ্রাম করতে না দিতে মিছিল করে। এবং সকাল থেকেই প্রোগ্রামে আসার সময় বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নেতাকর্মীদের ফিরে দিয়েছে আওয়ামীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আমাদের শান্তি পূর্ণ মিছিলে পুলিশ টিয়ার শেল ও লাঠিচার্জ করেছে ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলা করে অন্তত ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মীদের আহত করেছে এবং পুলিশ আমাদের ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে দুইজন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে তারা বিএনপির কোন পদেও নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
লালপুর থানার (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, বিএনপি লোকজন কে লাঠি নিয়ে যেতে নিষেধ করাই তারা পুলিশের উপরে চড়াও হয় এবং পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে রাস্তার পাশের একটি সিএনজি ভাঙচুর করে। পরে আমরা তাদের নীর্বিত করার জন্য দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি। পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৫৬ জনসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।