নাটোর অতিথি॥
অর্থ আত্মসাত ও চাকরী প্রদানের নামে প্রতারনার মামলায় সাবেক এনজিও কর্মকর্তা নাটোরের গুরুদাসপুরের সুপ্রকাশ পালকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক জেসমিন আরা এ আদেশ দেন। সুপ্রকাশ গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সত্যরঞ্জন পালের সন্তান।
আদালত ও মামলার নথিসুত্রে জানা যায়, সুপ্রকাশ পাল দেশের সুনামধন্য একটি এনজিও’র ম্যানেজার,একাউন্টসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার সহকর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যত্র সরকারী চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করে চাকরী ছেড়ে দেন।
অর্থ ফেরৎ ও সুবিচার পেতে আশরাফুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম নামে দু’জন বাদী হয়ে চলতি বছরের ২৯ মে সিরাজগঞ্জ আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১০৯ ও ১১০)। ওই মামলার ধায্য তারিখ গত ২৩ আগষ্ট সুপ্রকাশ পাল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা বাতিল করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট শাহ আলম ডেভিড।
মামলার বাদি আশরাফুল ইসলাম বলেন, সুপ্রকাশ পাল তাঁর সহকর্মী থাকাকালে চাকরীর পদোন্নতির কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহন করে চাকরী ছেড়ে দিয়ে প্রতারনা করেছেন।
মামলার অপর বাদী আরিফুল ইসলাম জানান,তাঁর স্ত্রীকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে ওই কর্মকর্তা ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে চাকরী-টাকা কোনটাই ফেরৎ না দিয়ে তালবাহানা করলে তিনি সুবিচার পেতে আদালতে মামলা করেন।
এর আগে ভুক্তভোগী পরিবার দুটির পক্ষে গত ৬ জুলাই গুরুদাসপুর থানার সামনের শাপলা চত্ত্বরে মানববন্ধন করে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহন করে।
এ বিষয়ে জানতে সুপ্রকাশ পালের স্ত্রী লিপি রানী পালের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।