নাটোর অফিস ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় মেনে নিতে পারেনি। তাই দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। দেশীয় এজেন্টদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জিয়াউর রহমান এক নম্বর অপশক্তি। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ব্যক্তিদের জাতি দেখতে চায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান ছাড়া আর কারা কারা আছে, কারা বিনিফেশিয়ারি তা খুঁজে বের করতে হবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার শহীদদের স্মরণে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ভারত, ইংল্যান্ড সহ বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে ক্ষমতাশীন সরকার বহাল থেকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেভাবেই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
বৃহস্পতিবার কানাইখালী এলাকায় শহরের প্রধান সড়ক জুড়ে জেলা আওয়ামীলী আয়োজিত শোক সভায় সভাতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নাটোর -৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক জিয়ার নির্দেশে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারেক জিয়া ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে হাওয়া ভবনে বৈঠক করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তিনি আরও বলে আওয়ামীলীগকে রাজপথ দখল ও আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আওয়ামীলীগ কর্মীদের সেকেন্ড হোম রাজপথ।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ। বক্তব্য অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার,সৈয়দ মোর্ত্তুজা আলী বাবলু,মালেক শেখ প্রমুখ।
শোক সমাবেশের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এদিকে শহরের প্রধান সড়কে এই শোক সভার আয়োজন করায় দিনভর সাধারন মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়কের ধারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যান ব্যবসায়ীরা। পথ বন্ধ করে দেওয়ায় অটো ও রিক্সা চালকদের কয়েক ঘন্টা অলস সময় কাটিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। ‘রিক্সা ও অটো চালকদের অনেকেই বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পারায় অন্যের কাছে টাকা ধার নিতে হয়েছে। ইসমাইল নামে এক অটো চালক বলেন, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখবে কে । সড়কে এভাবে সমাবেশ না করে পাশের মাঠে করলে সবার উপকার হতো। কোন দুর্ভোগ বা ভোগান্তির শিকার হতে হতোনা কাউকে।