নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে জমি সংক্রান্ত পৃথক সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার গোয়ালফা এলাকায় সংঘর্ষে ১১ জন এবং বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল ভরট এলাকায় ৫ জন আহত হয়।
প্রথম সংঘর্ষে বুধবার রাতেই নয় জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দুইজনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর সংঘর্ষে ২জনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি এবং ৩জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার গোয়ালফা এলাকায় আহতরা হলেন সাদেক শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান (৬৫), রফিক শেখ (৫০), হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহ আলম (৩৮), আরিফুল ইসলাম (৩৫), স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৫৫), ওসমান শেখের ছেলে সোবাহান শেখ (৪৮), মালেক শেখ (৩০), মেয়ে নুরজাহান শেখ (৩৫) ও শাহ আলমের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৫) , ছেলে রিয়াদ শেখ (২২) এবং শের আলী শেখে ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৬)।
জানা যায়, হাবিবুর রহমানের মেয়ে মারুফা শেখ, ওসমান শেখের ছেলে সোবাহান শেখ ও শের আলী শেখে ছেলে শফিকুল শেখ সম্পর্কে পরস্পর চাচাত ভাই-বোন। মৌখাড়া বাজারের পাশে শফিকুল শেখের জায়গাতে দোকান করে ভাড়া দেওয়া আছে। বুধবার মাপ জরিপ করে সেই জায়গার পুর্বাংশে সোবাহানের জমির মধ্যে দুই ফুট ঘুকে যায়। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাকাটি হয়। এরই জের ধরে রাতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে কুশমাইল ভরট এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে শাহাদৎ হোসেন ও নাজমুল ইসলামের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে শাহাদৎ ও নাজমুল আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করতে এসে আরও ৩জন আহত হন। পরে শাহাদৎ ও নাজমুলকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হবে।