নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিশু শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে (৬) যৌন নীপিড়নের অভিযোগ উঠেছে শাহাদত হোসেন ওরফে শাদু (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় ওই শিশুকে বাহিরে তার সমবয়সী চাচাত বোন এর সাথে পাশেই তাদের ফুপুর বাড়ির কাছে খেলা করতে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত সোবাহানের ছেলে মোঃ শাহাদত হোসেন ওরফে শাদু ওই শিশুর হাত ধরে জোর করে টেনে হিচরে তার দোকান ঘরে ভিতরে নিয়ে গিয়ে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় ভিকটিমের সাথে থাকা তার চাচাতো বোনকে এই ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয় ভীতি দেখায় এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত শাহাদত। ভীত ওই শিশুদের চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে শাদু । সে সময় ভুক্তভোগি শিশুর ফুপুকে দোকানে আসতে দেখে শিশুদের ছেড়ে দেয় সে। পরে শিশুরা ফুপুর বাড়িতে গিয়ে তার ১২ বছরের অপর এক চাচাতো বোনের কাছে ঘটনা খুলে বলে।
ভিকটিমের মা বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে সাহাদত হোসেন ওরফে শাদুর কাছে জানতে চাইলে সে বাদির উপর চড়াও হয়ে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে তিনি বাগাতিপাড়া মডেল থানায় গিয়ে শাদুর বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন নীপিড়নের অভিযোগ এনে একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। তিনি আরো বলেন, ইতিপুর্বেও অভিযুক্ত শাহাদত হোসেন শাদু তার শিশু কন্যার সাথে এমন আচরন করেছে। শুধু তাই নয় তাকেও বিভিন্ন সময় কূটুকথা বলাসহ অনৈতিক কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। মেয়ের বাবা চাকরির সুবাদে বগুড়ায় থাকেন। তাই তিনি তার এই মেয়ে ও ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। আর সে সুযোগে সাদু এমন আচরন করে তাদের সাথে।
শিশুটির বড় চাচা জানান, আমরা একই এলাকার বাসিন্দা, সাহাদত ইতিপূর্বেও এধরনের কার্যকলাপ করে আসছে কিন্তু আমরা গরিব অসহায়, অপরদিকে তার বংশ বড় ও তারা ক্ষমতাবান কিছু বলতে গেলে আমাদের হুমকি দেয়, এই বিষয়টি নিয়ে মামলা করার কারনে হুমকি দিচ্ছে। শাহাদতের এক ভাগিনা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। এ বিষয়ে মোবইল ফোনে সাহাদত হোসেন কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনাটিকে মিথ্যা ,বানোয়াট বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, মেয়েটি তার দোকেন সামনে খেলার সময় পড়ে গিয়েছিল তাই আমি তাকে তুলে তার শরীরের মাটি ঝেরে দেই। করোনার প্রকোপের সময় ভিকটিমের বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে দোকানে আসেন। একারনে মেযেচির বাবাকে গালমন্দ করেছিলাম। এরই প্রতিশোধ নিতে এমন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে দেয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শিশু যৌন নিপীড়ন এর অভিযোগে একটি এজাহার দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এজাহারের প্রেক্ষিতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। শাহাদত হোসেন ওরফে শাদু ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় তাকে ধরা যায়নি। তবে তাকে আটকের জন্য কাজ করছে থানা পুলিশ।