নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে অনাবৃষ্টি আর খরায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন হাজারো পাটচাষী। সোনালী আশ ঘিরে দেখা সোনালী স্বপ্ন এখন পানি সংকটে মলিন হয়ে পড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এবার লাভের আশায় উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টোর জমিতে পাটের চাষ করেছেন স্থাণীয় কৃষক। কিন্তু অনাবৃষ্টির ফলে পাটের গাছ শীর্ণকার রয়ে গেছে। এখন আবার সেগুলো খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার পাটোর ফলনে চরম মার খাবে কৃষক। এদিকে ভরা বর্ষায় কোন খাল-বিলে পানি নাই। তাই পাট জাগ দেওয়ার (পঁচানোর) পানি নিয়ে রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। এখনই পানির ব্যবস্থা না হলে যেটুকুই হয়েছে তা আর ঘরে তোলা যাবে না।
উপজেলার জালোড়া গ্রামের পাট চাষী আলীমুদ্দিন প্রামাণিক বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে পাটের আবার করা হয়েছে। অনাবৃষ্টির ফলে পাট খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। বিঘায় ২ মন ফলনও হবে না। যা স্বাভাবিক ভাকে ১২ থেকে ১৫ মন হয়।
বাজিতপুর গ্রামের আতিকুর রহমান বলেন, এমনিতেই পাটের দুরবস্থা তার উপর রয়েছে পানি সংকট। তাই বৃষ্টি না হলে পাট জাগের অভাবে কোন কৃষক পাট ঘরে তুলতে পারবে না।
কুমরুল গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, বিএডিসির উদ্যোগে খাল খনন করতে খালের মুখে এবং মরা বড়াল নদীতে বাঁধ দেওয়ায় উক্ত খাল ও নদীতে পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। বাঁধ দুটি অপসারন করলে অন্তত ১০ গ্রামের ৩ হাজার হেক্টোর জমির পাট পঁচানো সম্ভব হবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, অনাবৃষ্টির কারনে পাটের গড়নটা দূর্বল হয়েছে। ফলে পাটের ফলন কমে যাবে আংশকাজনক হারে। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হলে এবং পানি সংকট না কাটলে পানচিং পদ্ধতিতে পাট পঁচিয়ে আঁশ ছাড়ানো যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, অনাবৃষ্টির ফলে ফলন কম হবে । এখন বৃষ্টি হলে অন্তত যেটুকু হয়েছে সেটুকু সুষ্ঠুভাবে ঘরে নেয়া সম্ভব হবে।