জালাল উদ্দিন গুরুদাসপুর (নাটোর).
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদের সেই আনন্দ-খুশি ছড়িয়ে পড়েছে মিনি কক্সবাজার খ্যাত চলনবিলের বিলশায়। ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন চলনবিলের বিলশা পয়েন্টে।
বর্ষা মৌসুমে এ বিলের মনোরম পরিবেশ দর্শকদের বেশি আকৃষ্ট করে । এ মৌসুমে চলনবিলের সুবিশাল জলরাশি, উত্তাল তরঙ্গ, পাল তোলা ডিঙ্গি নৌকা , ইঞ্জিন চালিত ছোট বড় নৌকা, জলরাশির মাঝে দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ছোট গ্রাম আর সন্ধ্যা বেলায় চলনবিলের বুকে সূর্যের শলিল সমাধি দেখতে উৎসুক জনতা প্রতিদিন ছুটে আসেন বিলশা পয়েন্টে চলনবিলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে।
বিলশার চলনবিল দর্শন স্পটে শুধু যে বর্ষা মৌসুমে সৌন্দর্য হাতছানি দেয় তা নয় । শুস্ক মৌসুমে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা অবারিত সবুজ ফসলের দিগন্ত জোড়া মাঠ দেখতে ছুটে আসেন চলনবিলে। চলনবিলে সবুজ ফসলের মাঠ আপনার নয়নকে বিমোহিত করবে ।
সম্প্রতি উপজেলার চলনবিলে ব্যক্তি উদ্যোগে বিলশা বাজার সংলগ্ন বিলের মাঝখানে গড়ে উঠেছে স্বর্ণদ্বীপ ও গ্রীণল্যান্ড নামে দুইটি ক্ষুদ্র বিনোদন কেন্দ্র । স্বর্ণদ্বীপ ও গ্রীণল্যান্ডটি আসলেই অতিথেয়তায় অভুতপুর্ব জলসিক্ত নতুন স্বপ্ন নীড়। চলনবিলকে ছুয়ে দেখার নির্মল বিনোদন কেন্দ্র এটি। উপজেলার বিলশা সিমান্তে অবস্থিত এই দ্বীপটি। গুরুদাসপুর উপজেলা সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন এটির নাম দিয়েছিলেন ‘স্বর্ণদ্বীপ’। পাশেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চলনবিল যাদুঘড়। যেখানে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা দর্শন। এখানেও ঈদ আনন্দে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ঈদ আনন্দে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই পয়েন্ট।
স্থানীয় এমপি অধ্যাপক আ. কুদ্দুস বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত এলাকার মানুষ ছিল এক সময় অবহেলিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলনবিলকে অভাবনীয় উন্নতি করেছি, যা দেখলেই সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র ভেসে ওঠে অকপটে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে চলনবিলের সৌন্দর্য আর উন্নত সব স্থাপনাকে এক পলক দেখার জন্য।