নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির সমৃদ্ধিই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও এর সাথে অপার সম্ভাবনাময় যুব শক্তির সংযোগ ঘটিয়ে খুব সহজেই এই সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। এভাবেই আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার স্বূর্ণ জয়ন্তিতে মধ্যম আয়ের প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছে যেতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার নাটোরের সিংড়া উপজেলার নিঙ্গইন এলাকায় ৫দশমিক ২০ একর জমির উপরে ১৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক নির্মান প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উত্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও সিংড়া উপজেলা দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু । সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের পুর্বে কলেজের আইটি ভবনের সম্প্রসারিত তৃতীয় ও চতুর্থ তলার উদ্বোধন এবং নতুন চার তলা ভবন নির্মাণ কাজেরও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বাস করছি। আমাদের দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে-যা অন্য কোন দেশে নেই। অফুরান এই যুব শক্তিকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ আর পিছিয়ে থাকবেনা। দক্ষ জনসম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি পূরনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কারনে আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি।
পলক আরো বলেন, বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া কোন পেশাতেই সফল হওয়া সম্ভব নয়। তাই পেশাগত দক্ষতা, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্যে সারাদেশে সরকার প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টারসহ অসংখ্য প্লাটফরম নির্মাণ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ মানুষ হওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখা সম্ভব।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১২টি জেলায় সাত তলা বিশিষ্ট মাল্টিনেটেড হাই-টেক ভবন নির্মাণ করছে। এছাড়া এই পার্কে থাকছে তিন তলা বিশিষ্ট ক্যান্টিন ও এমফিথিয়েটার এবং তিন তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবন। জুন ২০২০ সময়ের মধ্যে নাটোরের এই হাই-টেক পার্কটি নির্মিত হলে আড়াই হাজার তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।