নাটোর অফিস॥
শারীরিক প্রতিবন্ধী রাবেয়া বেগম (১৩)। বাবা রাজিদুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক। কৃষক ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৩ বছর আগে। জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী রাবেয়া খাতুন। অভাব অনটনের সংসারে মেয়েকে নিয়ে যেন হাপিয়ে উঠছেলেন কৃষক বাবা।
রাবেয়ার যখন ৭ বছর তখন থেকেই একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত ঘুরেছেন প্রায় ৫ বছর। অনেক মেম্বর-চেয়ারম্যান এসেছেন কিন্তু রাবেয়ার কার্ড হয়নি। হতাশায় আর লজ্জায় কাউকে বলেননি আর। ভাতা কার্ডের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন রাবেয়ার পরিবার। পরে বুধবার ১ জুন বিকেলে একজন গণমাধ্যমকর্মী রাবেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেনের কাছে জানান। পরে তৎখনাত রাবেয়ার বাড়িতে শুকনা খাবার নিয়ে হাজির হন ইউএনও তমাল হোসেন। রাবেয়ার বাড়িতে তিনি নিজে গিয়ে রাবেয়ার সাথে কথা বলেছেন এবং তার ভাতা কার্ড নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করেছেন।
রাবেয়ার বাবা রাজিদুল ইসলাম জানান, অনেক দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ভাতা কার্ডের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার একজন গণমাধ্যমকর্মী তার মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে ইউএনওকে জানান। তৎখনাত ইউএনও তাদের বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন জানান, রাবেয়ার বিষয়ে জানার পরপরই তার বাড়িতে গিয়ে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড নিশ্চিত করা হয়েছে।